ওয়ানডে অধিনায়কত্বে মিরাজের নতুন যাত্রা, লক্ষ্য সরাসরি বিশ্বকাপ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ দিয়েই ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরু করতে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এমন এক সময় এই দায়িত্ব গ্রহণ করছেন তিনি, যখন বাংলাদেশের ক্রিকেট দল পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে কঠিন সময় পার করছে। টানা ছয় ওয়ানডে ম্যাচে জয়হীন বাংলাদেশ ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মতো দশম স্থানে নেমে গেছে র‍্যাঙ্কিংয়ে।

এই প্রেক্ষাপটে সামনে রয়েছে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ—২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মার্চের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটের মধ্যে না থাকলে বাছাইপর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে। র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৮ দল এবং বাছাইপর্ব থেকে আসা ৬ দল মিলিয়ে ১৪টি দল অংশ নেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য ওই বিশ্বকাপে।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, “আমরা এখন যে স্টেজে আছি, আমাদের লক্ষ্য এটাই থাকবে—আমরা যেন সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারি। তার জন্য আমাদের অনেক ম্যাচ ও সিরিজ জিততে হবে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। র‍্যাঙ্কিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”

তবে বাড়তি চাপ নিতে চান না মিরাজ। তিনি বলেন, “আমরা যদি চাপ নিয়ে ফেলি, এটাও কঠিন। ম্যাচ ধরে ধরে আমরা চেষ্টা করব। যেহেতু বিশ্বকাপের আগে আমাদের সামনে আরও ওয়ানডে আছে, আমার মনে হয় যে শুরুটা যদি ভালো করতে পারি, তাহলে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।”

এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর অবসরে দলের ভারসাম্য কিছুটা বদলে যাচ্ছে। তাঁদের জায়গায় একজন হিসেবে খেলবেন মিরাজ নিজেই, অপর জায়গায় খেলবেন লিটন দাস।

নতুন দায়িত্বের শুরুর সময়েই মিরাজকে একটি সংকটপূর্ণ পরিবেশে নামতে হচ্ছে, কারণ তার অধিনায়কত্ব গ্রহণের পরপরই টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, “দলে একজন অধিনায়ক থাকে, কিন্তু খেলতে হয় সবারই। দলের সবার পারফর্ম করাটা, সাপোর্ট করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মধ্যে এ রকম কিছু নেই, শান্তর ভেতরেও নেই। সবার আগে দল, বাংলাদেশ।”

২০১৭ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া মিরাজ এরই মধ্যে ১০৫ ম্যাচ খেলেছেন এবং পাঁচজন অধিনায়কের অধীনে মাঠে নেমেছেন। ইতোমধ্যে চারটি ওয়ানডে ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বিশ্বাস, এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চাপ সামলাতে পারবেন তিনি।

বিশ্বকাপ নিশ্চিতকরণ এবং দলের পুনর্গঠন—দুই বড় দায়িত্ব নিয়েই মিরাজের নেতৃত্বের যাত্রা শুরু হলো প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।