জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ‘কমপ্লিট শাট ডাউন’ কর্মসূচির কারণে টানা দুই দিন—শনিবার ও রোববার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সব ধরনের কাজ বন্ধ ছিল। ফলে বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট, শুল্কায়ন, শুল্ক পরিশোধ ও কনটেইনার ডেলিভারিসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
এই পরিস্থিতির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ও ২১টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো (অফডক) কার্যত অচল হয়ে পড়ে। রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্দরে জমা পড়ে ৪০ হাজার ৭২২ টিইইউস কনটেইনার, অথচ আগের ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১৩৯ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে। রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার না পৌঁছানোয় অন্তত তিনটি কনটেইনার জাহাজ বন্দর ছাড়তে পারেনি।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় কাস্টমস কর্মকর্তারা বন্দরের বিভিন্ন গেট ও কাস্টম হাউসে কাজ শুরু করেন। এতে বিল অব এক্সপোর্ট দাখিলসহ সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু হয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সবার আন্তরিক সহযোগিতায় এই অচলাবস্থা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে রপ্তানি চালানের শুল্কায়ন শুরু হয়েছে এবং সোমবার থেকে পুরোপুরি কাজ চালু হবে।
এদিকে বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিকদার জানান, ২১টি ডিপোর মধ্যে ১৯টি রপ্তানি পণ্য নিয়ে কাজ করে। বর্তমানে এসব ডিপোতে রপ্তানিযোগ্য ১৪ হাজার ৩৭১ টিইইউস কনটেইনার রয়েছে। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার কনটেইনার বন্দরে পাঠানো হয়, তবে রবিবার কোনো জাহাজ বন্দর ছাড়তে পারেনি। সোমবার পাঁচটি জাহাজ ছাড়ার শিডিউল রয়েছে, তাই দ্রুত রপ্তানি পণ্য পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। কিন্তু এনবিআরের শাটডাউনের কারণে কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, কাস্টম হাউসে পুরোদমে কাজ শুরু হলে অচলাবস্থা কেটে যাবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
