নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের আলোচনায় জোহরান মামদানি, উদ্বেগে দলীয় নেতৃত্ব

নিউইয়র্ক সিটির আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ বা ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিজমের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে সারা দেশের আলোচনায় এসেছেন। এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি জানান, শহরের শীর্ষ ধনী ও করপোরেটদের ওপর কর বাড়ানো, বিনা মূল্যে বাস সেবা, ঘণ্টায় ৩০ ডলারের ন্যূনতম মজুরি এবং ভাড়া স্থিতিশীল রাখাসহ তাঁর অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলো ডেমোক্রেটিক পার্টির মূল দর্শন হওয়া উচিত।

জোহরানের এই অবস্থানে ডেমোক্র্যাট দলের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে বড় জয়ের পরও তাঁকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করেননি দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা—যেমন, হাকিম জেফ্রিস, গভর্নর ক্যাথি হোকুল, সিনেটর চাক শুমার প্রমুখ।

জোহরানের বিতর্কিত অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় যখন তিনি ফিলিস্তিনপন্থী স্লোগান “ইন্তিফাদার আন্তর্জাতিককরণ হোক” প্রসঙ্গে সরাসরি নিন্দা জানাতে রাজি হননি। এই অবস্থান তাঁকে মূলধারার নেতাদের থেকে আলাদা করে তুলেছে এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এই প্রসঙ্গে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস এবিসির ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে বলেন, “জোহরানকে নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছি না। তাঁর অবস্থান পরিষ্কার হওয়া দরকার।”

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজে বলেন, “জোহরান একজন কমিউনিস্ট। তিনি মেয়র হলে নিউইয়র্কের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।”

তবে জোহরান এ মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমি কমিউনিস্ট নই। শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোকে আক্রমণ করতে চাইলে প্রেসিডেন্ট এসবই বলবেন।”

নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচনে জোহরানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হচ্ছেন কার্টিস স্লিওয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন আইনজীবী জিম ওয়াল্ডেন।